কবিতারা সব মিছিল করেই সেদিন পথে নেমেছিলো অকষ্মাৎ
ওয়াসার জলবিহীন কলতলায় জমে ছিলো ভীড়
সরু ইস্পাতের পাইপ বেয়ে নেমে আসবে কৃত্রিম জলবিন্দু
তাতেই ক্ষণিক স্নান করে নেবে শব্দকণাগুলো এমনই প্রত্যাশায়
বোকার স্বর্গে বাস করা কবিতারা বোঝেনি কলের জলের সামান্যতাটুকু
চাতকের মতোই চিত্ত ভেজাবার সে কী আপ্রাণ প্রচেষ্টা তাদের।
অকষ্মাৎ বহু যুগের লুকোনো শ্রাবণ মেঘের আড়াল থেকে নেমে এলে তুমি,
নায়াগ্রার জলপ্রপাতের গতিতে ভিজিয়ে দিলে প্রতিটি অক্ষর কবিতার
তোমার কোমল আঙ্গুলের স্পর্শে কবিতারা হলো তেজোদ্দীপ্ত ঘোড়ার মতো
কপাটের খিলগুলো কপটতা অগ্রাহ্য করেই খুলে গেল নির্নিমেষে ।
আশীষে –আশির্বাদে ভরে দিলে তুমি রুক্ষভূমির সুক্ষ অনুভবগুলো
কবিতারা তরল হলো জেনো, আরও আজ এই বর্ষণমুখর বিনিদ্র রাতে।
এখনতো কর্কশ কবিতারাই হলো কোমল পানীয়ের চাইতে কোমলতর
মেঘের ঠোঁট ছুঁয়ে তর তর করে নেমে যায় হৃদয়ের গহীন ভেতরে
ভূমিকা বদল হলো আজ থেকে তোমার এবং ঐ কবিতাদেরও জেনো
কবিতারাই নামবে শ্রাবণ মেঘের মতো রোজ, তোমার মনের উপকুলে
সযত্নে যে লালন করেছো স্নেহের ছোঁয়ায় সেই ঋণ পরিশোধের পালা এবার
কবিতারাই এবার ভেজাবে তোমার মন, যেমন ভিজেছে তারা তোমার মেঘবতী মনে।
আজ , কাল এবং অনন্ত কাল জুড়েই মেঘেতে মেঘেতে এ আলিঙ্গনে বিদ্যুৎ চমকাবে জানি
বিপত্তি নেই কোথাও কোন , ভয়ও নেই শুধু ভক্তিতে জন্মাবে জেনো তোমার –আমার কাব্য-কাহিনী।
২৯শে জুলাই ২০১৬, ম্যারিল্যান্ড
Copyright@ anis ahmed