প্রতীক্ষার রাত বরাবরই দীর্ঘ থেকে হয় দীর্ঘতর
প্রবাদে-প্রবচনে সে কথাই বলে গেছেন গুরুজন
কষ্টের কবিতায় উঠে আসে জানি কবিতার কষ্টরা
তুমিও আসো জানি নির্লিপ্ততায় উঠোন লেপে
যেন কখনও সেখানে ফোটেনি চিত্তের চামেলিরা
আঁকোনি যেন কল্পনার আল্পনা, আনকোরা তুলিতে।
কেন তবে সেদিন বাক্যের বাকবাকুমে পায়রা মনের
বহুবর্ণ ঘুড়ি উড়িয়েছিলে বিবর্ণ আমার আকাশে ?
বকুলের শাখায় বসে গেয়েছিলে মুক্তকন্ঠে বন্দী করার গান !
আজ তবে সন্ধি করতে কেন সোনালি সকাল গড়ায় বিবর্ণ বিকেলে!
কেন তোমার কবিতার স্লেট মুছে দাও তুমি কোন অনুমিত আশঙ্কায়
তুমিইতো জ্বালিয়েছিলে কবিতার প্রদীপ, আমি জ্বলেছিলাম সলতে হয়ে।
অতন্দ্র প্রহরীর মতো জেগে থাকি রাতভর পাছে আসো চুপি চুপি পায়ে
কিঞ্চিৎ-কদাচিৎ ঘুমোই যখন তখনও তো খোলা রাখি স্বপ্নের জানালা
পাছে উঁকি দিয়ে যাও লজ্জায় আনত আমার ক্ষুদ্র সত্বার সন্ধানে ।
জানি টোকা দেবে না কখনই আমার আধেক খোলা হৃদয়ের সদর দরজায়
গুটি গুটি পায়ে আসো না কেন তবে খিড়কি দরজার খোলা পথ ধরে
সেখানে এখনও বকুলের মুকুলে মৌ মৌ সুবাস, এখনও প্রতীক্ষা এক পথিকের।
শব্দরা এখনও সমবেত হয় , তোমারই প্রিয়-পরিচিত কবিতার অঙ্গনে
তুমি আসো না বলেই মিলন-ক্ষেত্ররা সব ক্ষত্রিয় হয়ে যায় রণাঙ্গনে।
২৯শে জুলাই ২০১৬, ম্যারিল্যান্ড
Copyright@ anis ahmed