অরিন্দমের অনুশোচনা

প্রায়শই অনুক্ষণ অনুতাপে কেটে যায়
অরিন্দমের নিতান্ত একাকী মূহুর্তগুলো
ভালোবাসার যে আশ্বাসে বিশ্বাস ছিল অরণির
সেকী এখন কেবলই কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ হয়ে গেল
ক্ষণে ক্ষণে ক্ষয়িষ্ণু যাকে করেছে অরন্দিম !

নিজের বিভাজিত বিবেক নিয়ে বিব্রত বড় বেশি আজ
তেজি ঘোড়ার পদক্ষেপণ কেন জানি কোন পদস্খলনে
এখন বিচলিত পায়ে হেঁটে চলা অরণির অলিন্দের পাশ দিয়ে
কৃষ্ণের শিসে এখন কোন সে সীসা বিষাক্ত করে প্রতিবেশ
তাই চমকে থমকে যাওয়া, স্তব্ধ অরিন্দমের বাঁশি।

অথচ কথা ছিলো অরিন্দম শোনাবে আজ সেই কবিতাখানি
যার শরীরে লেপ্টে আছে অরণির ললাট-কাহিনী
যেখানে খঞ্জনির তালে মিলে যাবে শিঞ্জনির শিহরণ
অরণিতে-অরিন্দমে একীভূত হবে অভিন্ন অনুভবে
এবং, অতএব লেখা হবে এক নতুন কাব্য শুণ্য এ খাতায়।

আজ অবধি শোনায়নি অরিন্দম সে রকম কাঙ্খিত কোন কবিতা
শোচনীয় এক অনুশোচনায় যেন ধূসরতায় মলিন হয় যুগল ছবিটা।

১৪ ই জুলাই ২০১৬, ম্যারিল্যান্ড
Copyright@ anis ahmed

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *