উপেক্ষিত উৎপ্রেক্ষা

চকবাজার কিংবা চৌরঙ্গির ঐ চৌরাস্তার মোড়ের মতোই
কবিতার খাতা এখন খাঁ খাঁ করে শঙ্কিত এক শুণ্যতায়
অন্তরপুরের গলি দিয়ে অন্তঃপুরে উঁকি দেয়
কখনও কখনও উপমা- উৎপ্রেক্ষাদের কেউ কেউ
কারফিউতে বেরিয়ে পড়া অবাধ্য কোন বালকের মতোই যেন
তারপর শিশুর মতোই লুকোয় মুখ, বিবেকি বিধানের আঁচলে।

পাছে কোন অনুজীব পরজীবি হয়ে বাসা বাঁধে
পুরোনো এক বটবৃক্ষের মগডালে
বোশেখি ঝড়ের আগেই যদি ঝরে পড়ে পাতারা সব
সেই শঙ্কায় উপমারা আর হাঁটে না কবিতার হাত ধরে
ব্যবধানে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দেহ থেকে আত্মারা সব।
এখন কবিতা কেবল মরচে পড়া পুরোনো প্রাণহীন সংবাদ
সকালে যা শুনেছিলাম আমি, বিকেলে তারই শঙ্কার সংস্করণ।
আবৃত্তি নয়, পুণরাবৃত্তিতে দেহ ক্লান্ত যতটা, তারও অধিক মন।

সংক্রমণ কিংবা জীবাণু অথবা মহামারি শব্দদের পদচারণায়
তিক্ত-বিরক্ত আমি আজ, অ্যালার্জিতে হারায় এনার্জিরা সব।
মেসেঞ্জারে , মুঠোফোনে মুঠো মুঠো বার্তা ছড়ায় বন্ধুরা আমার
শুধু আসে নাতো চিত্ত হরণের চিত্রকল্প কোন কাছাকাছি
উৎপ্রেক্ষারা সব অপেক্ষায় থাকে , উপেক্ষায় উবে যায় সহসা
ট্র্যাফিকের আলো সবুজ হয় বটে, কবিতার পথ তবু শূণ্য, সুনসান।

চেয়ো না এখন আর কোন কবিতা আমার কাছে
মনের কুঠুরিতে কবিতারা সব লকডাউন আছে ।

৩০শে এপ্রিল ২০২০ , ম্যারিল্যান্ড
Copyright@anisahmed.

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *