অরণি -অরিন্দমের সম্পর্কে বিশাল এক ছেদ-চিহ্ন
বিচ্ছেদ নয় বটে তবু জগৎটা যে তাদের এখন ভিন্ন
দুজনই তারা প্লেটোর প্লেট থেকে নেয় প্রেমের বিমূ্র্ত সাদ
প্রত্যক্ষ প্রণয় বারণ নাকি, প্রেম নদীতে বিশাল এক বাঁধ।
নায়াগ্রার মতো ঝরতো যে একদা অজস্র প্রেমের প্রপাত
এখন কেন তবে স্তব্ধ সবই হবে না’ক কখনওই প্রভাত!
পাখিরাতো এখনও ঠোঁটে ঠোঁট রাখে, করে সুখের কূজন
কে দিল দূরে ঠেলে অরণি-অরিন্দমেরে, পৃথক কেন দুজন
নদীরাতো এখনও বয়ে যায় বরাবরের মতো দুজনেরই কুলে
রমনা কিংবা রবীন্দ্র সরোবর এখনও তো ভরে ফুলে ফুলে
ওদের প্রেমের মুকুল কেন আজ ফোটে নাতো ফুল হয়ে
বন্ধ ঘরের মধ্যেই কী তবে সম্ভাবনা সব যাবে ক্ষয়ে।
দূজনই দেখেছে , সূর্য উঠেছে , তবু বাইরে যাওয়া বারণ
এ কেমন তরো শাসন তোমার , বোঝেনা তারা কারণ
জানালার ওপারে অরণি বসে থাকে কষ্ট-কলস কাঁখে
অরিন্দম অনর্গল লিখে যায় কবিতা, জীবনের দূর্গম বাঁকে।
নিষেধের দেয়াল তুলেছে আজ, অনুজীবেরা হয়ে ব্যাধি
ভালোবাসা হয়ে যাবে কী হায় নির্জন কোন সমাধি
ঢেউয়েরা সব আছড়ে পড়ে , শত বাঁধনের বাধাতে
কৃষ্ণ কি তবে রাখাল হয়ে র’বে , মিলবে না সে রাধাতে!
৯ই এপ্রিল ২০২০, ম্যারিল্যান্ড
Copyright@anisahmed.