শ্রাবণ এলেই মনে পড়ে যায়

অশ্রুতে টইটুম্বুর সেই চায়ের কাপের কথা

অথচ কি জানেন সে দিন বৃষ্টি পড়েনি তেমন

মেঘেদের মিতালি ছিল অন্যরকম

ফিস ফিস করে বলছিল কথা

যেমনটি বলে বিশ্বের তাবত্ ষড়যন্ত্রকারী

এবং আচ্ছন্ন করে রেখেছিল মুক্তির আকাশখানি

আচমকা এক বিদ্যুত্’এর চমক

মূহর্তেরই আলোর ঝলকানি

অতঃপর এক গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত  হলো

দিনের আলোরা  সব নিভে গেল দ্রুত

বজ্রপাতের শব্দ হলো, ঠিক যেন গুলির আওয়াজ

সিঁড়িতে পড়ে রইলে নিথর তুমি

যে ইতিহাসের সিঁড়ি বেয়ে জাতিকে তুলেছিলে একদা ।

ব্যস্ত-অনুপাতের এই গণিত সেদিন বোঝেনি আমার মন

কতটুকু বৃষ্টি, কতটাই বা অশ্রুজল বোঝেনা এ শ্রাবণ ।

এমনি এক বেদনা ছিল আরেক শ্রাবণে

সেদিন আমার পূর্ব পুরুষের পাত্রখানি

ভরে ছিল চোখের নোনা জলে

প্রাণের পূর্ণতা রেখে চলে গেলেন এক মহাপুরুষ

দোয়াতের কালিতে যিনি ভরেছিলেন অগুনতি খাতা

অথবা তুলির আঁচড়ে এঁকেছিলেন ছবি

এবং সুরের লহরে যার নদীরা করে নৃত্য আজও

কিংবা শেষের কবিতায় তিনি এক ব্যতিক্রমী অমিত।

সেই সূর্য -সত্য ধীরে ধীরে অস্ত গেল

ব্যাধি ও বার্ধক্যের প্রকাশ্য ও যুগপত্ এক ষড়যন্ত্রে

কবিতার পাত্রখানি এতোটাই পূর্ণ করে গেলে হে মহান

যে নেশাখোর পাঠক এখনও পারেনা করতে সবটুকু পান।

দুই শ্রাবণের শোকের ধারা মিশে যায় অভিন্ন এক স্রোতে

ভালোবাসার আকুলতায় সোনার বাংলা পাই যখন উভয়েরই ঠোঁটে।

৬ই আগস্ট   ২০২১, ম্যারিল্যান্ড  

Copyright@anisahmed