নিভৃতে নিঃসঙ্গেই সান্ধ্য সুরাপানে মদমত্ত

গেলাসের পর গেলাস গিলেছি যখন রোজ

গেলাসতো নয় লোকজন বলে এ কোন ছাইপাশ

আমি বলি এতো সেই স্বর্গেরই উদ্যানে বসবাস ।

বেহেশতের হুর অথবা স্বর্গের অপ্সরারা সব

হেঁটে যায় যেন মর্ত্যের কোন ফ্যাশন শোতে

ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকি আমি, নেশাতুর চোখে

পাগল নাকি প্রেমিক এ লোক, বলে অন্য সব লোকে।

ওয়াইন কিংবা হুইস্কি ভেবে নেশায় মদমত্ত এই আমি

পান করেছি যা সেতো কেবল তোমার প্রেমেরই প্রসাদ

তাতেই এতখানি নেশায় প্রত্যহই আমি খোয়া যাচ্ছি

মনে হচ্ছে প্রতিনিয়ত আমি কৃষ্ণের বাঁশি বাজাচ্ছি।

এই মূর্তমান বিশ্বে কখনো আমি কৃষ্ণ কখনোবা রাধা

ভালোবাসা তো বিমূর্ত বরাবর জানেনা সে নারী নাকি পুরুষ

ঠিক ঈশ্বর যেমন বিমূর্ত আমার এ ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে

তেমনই বিমূর্ত তিনি সর্বত্র তাঁরই সকল সৃষ্টিতে ।

এখনতো দেখি অক্ষরেরা ভাসছে অদ্ভূত এ পান পাত্রে

তৃষ্ণার চুমুকে চুমুকে হয়ে যায় ওরা এক স্তবক কবিতা

কবিতা কিংবা ঈশ্বর অথবা কেবলই বিমূর্ত ভালবাসা

নিত্যই মেটায় তৃষ্ণা আমার অথবা বাড়ায় প্রত্যাশা।

ত্রয়ী সত্যের মেলবন্ধনের মূহুর্ত এ এক অবাক

প্রতীক্ষায় কাটবে সময় যতদিন না আসে ডাক।

২৬শে মে, ২০২২ ম্যারিল্যান্ড  

Copyright@anisahmed

চিত্রঋণ: ময়ূর দেশপান্ডে