কাঁখের কলসে যে কষ্ট বইছো দিবানিশি সে খবর জানে ক’জনই বা কেবল ছলকে পড়ে যায় কষ্টরা মাঝে মাঝে তারই কয়েক বিন্দু কবিতা হয়ে যায় এই যা। চিরল চোখের মণিতে খুঁজি কষ্টদের বারংবার চিকিত্সক এতটাই নিপুণ[…]

জানি ঝরবে পাতা হেমন্তের সকাল   বিকেল কিংবা সন্ধ্যায় হলদে পাতা মাড়ানোর রোমান্টিক অনুভূতিতে হেঁটে যাও তুমি যাই আমিও। পাতা-পতনের এই মৌসুমি মূহুর্তরা সব নান্দনিক আনন্দে বিভোর ।কিন্তু কেন? জানো কি? নিষ্পত্র ওই সব বৃক্ষ[…]

আকাশ ছুঁতে বড় ভয় আমার অথচ সময়ের সোপান বেয়ে প্রত্যহ যে ঊর্ধ্বে আরোহণ সেতো নিম্নগামিতাই বস্তুত। মাটির সঙ্গে একাকার হওয়া অথবা গঙ্গা জলের চিতাভষ্মে ভাসা, আর আকাশের তারা হয়ে থাকা অভিন্ন সত্য –বলেন যে বিজ্ঞজনেরা[…]

( কবি আসাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে ) হ্যাঁ তখনই বুঝেছিলাম এবার শীতার্ত হবো আমরা কারণ তোমার ওই হৈমন্তি বেশে ছিল ঝরে পড়ার শংকা।   হাসপাতালের শয্যায় কিংবা বাড়ির খাটে তোমার পান খাওয়া ঠোঁট হলো যখন তামাটে।[…]

চিরসবুজ কোন বৃক্ষের মতো আসিনিতো এ ধরণীতে যে শীতের সীমান্তে বসেও গাইবো বসন্তের জয়গান অভিজ্ঞতার বোঝায় ক্রমশই নূয়ে পড়েছে বৃদ্ধ এ বৃক্ষ এখনতো জানি ভুলে থাকার কথা সব মান-অভিমান। ঝুড়িতে থাকা অভিজ্ঞতারা সব একেকটি কম্পাস[…]

তোমাকে নিয়েই আমার অহর্নিশ স্বপ্ন এবং বাস্তবতা; বাড়িতে এবং গাড়িতেও শুনি তোমার বাণী তোমাকে নিয়েই যত কথা। আমি আসবার আগেই তুমি চলে গেলে জানিনে কোন অনন্তলোকে । শুধু রেখে গেলে সীমাহীন শব্দের সমাহার এবং ভাসালে[…]

সমুদ্রের ঢেউয়ের মতই অকস্মাত্ ভিজিয়ে গেলে শুকনো হৃদয়খানি বালুকাবেলায় জল ছিল যত তারও অধিক বালি রাশি রাশি । উচ্ছসিত অনুভবে স্পর্শ করলে আমায় যত দ্রুত আছড়ে পড়লে হৃদয়ে সেদিন তত দ্রুতই চলে গেলে বহুদূর, সাঁতারতো[…]

নিজেকে মাপার মাপকাঠি খুঁজে পাইনি আমি আজ তাই গরুর দামেই মেপে ফেলি, তাতেই বা কী লাজ। নিজের মূল্য বুঝতে পারিনা এমন করে কোন দিন গরুর মূল্যেই মাপি নিজেকে বাড়লে বাড়ুক ঋণ। লাখের কোঠা অতিক্রম করছে[…]

ভাবের ঘরে অভাব নিয়েই অকাল বসবাস নইলে কেন নিত্যই দেখি নক্ষত্রবিহীন আকাশ শুণ্য থাকে পাত্র আমার প্রতিদিনের ভিক্ষাশেষে  হয়না বুঝে ওঠা কিছু রাত্রিদিনের দীক্ষাশেষে। বন্ধদ্বারের অন্ধকারে যতই জোরে আঘাত করি কপাট খোলে না বলেই তো[…]