সেদিন এক সিঁদূরে সন্ধ্যায় কাব্য কথায় বড় বেদনার সাথে তুমি ঠিকই বলেছিলে মহিষাসূরেরা ফিরে আসে বার বার । জানি, মহালয়ায় মহিষাসুরমর্দিনীর স্ত্রোত্র পাঠে উৎসবের শুরু বটে ,শান্তি ও সংগীতের আরাধনায় দেবী হন বিসর্জিত পবিত্র জলে[…]

বিশ্বময় বিষন্নতার মাঝে খুঁজি শান্তি, সে কী বহুদূর ! যেখানে শোনা যাবে সেই পরিচিতি সঙ্গীতের সুর যার সঙ্গতে সরব হবে গণিতের সমানুপাত রবিশঙ্করের সেতারে কাটবে দুঃস্বপ্নের দীর্ঘরাত। সুরের সঙ্গে মহিষাসুরের এই নিত্যকালের দ্বন্দ্বে বিজয়ার বাণী[…]

রাখতে পারিনে আজকাল আমারই কোন কথা নইলে সেদিন মিললো না কেন কাঙ্খিত কাব্যগাঁথা তুমি শুধু পড়ে গেলে তোমার যত ছিল শব্দমালা মহাসড়কের এ পারে আমার ততই যন্ত্রণা- জ্বালা। শব্দগুলো সব কাব্য-কথা করে ফোটালে তোমার বাগানে[…]

আচ্ছা ধরো , আমি যদি প্রকৃতিই হতাম মেঘ না হ’তেই বৃষ্টি পাওয়া হৃদয় তোমার মেঘনার তীরে, খুঁজে পেতো কী আমায় । ঋতুবতী হবার সেই প্রথম সকালে বুঝতে কী তুমি ঋতুর সাথে হৃদ্যিক প্রাত্যহিক প্রণয় ।[…]

রোজ রোজ কথা দিই কবিতার শব্দে ভরাবো তোমার কাঁখের কলস রোজ রোজ তোমায় বলি ঐ শব্দ সম্ভারে হারানো হৃদয় হয়ে যায় সরস। কথা রাখি নাতো রোজ আমি শব্দরা মাঝে মাঝে লুকোয় যেন কোন এক অন্তরালে[…]

গোধূলি তুমি কি একেবারেই একা একাকীত্বই কি নয় তোমার সঙ্গী । তবেতো একা নও তুমি আদৌ কোমল আলোয় স্নান অঙ্গাঅঙ্গি। এক আকাশ আলোতো ছড়ালে একদা এক জীবন-দৈর্ঘে সারাটা দিন জুড়ে কখনও লুকোলে মেঘের আড়ালে সহসা[…]

চুয়াল্লিশ বছর তো হয়ে গেল এখনও স্মৃতির জানালা দিয়ে প্রত্যহই দেখি তোমার আকাশ -স্পশীঁ ব্যক্তিত্বকে মেঘের আড়াল থেকে তোমার আঙ্গুলগুলো আমাকে দিক দর্শন দিয়ে যায় প্রতিদিন গাড়ির ভেতরকার বৈদ্যূতিন দিক নির্দেশকের মতো পিতা তোমারই নির্ভুল[…]

প্রায়শই তুমি বয়ে যাও নিস্তরঙ্গ এক নদী শব্দরা মিলিয়ে যায় নৈঃশব্দের গহীন গভীরে রূপোলী মাছ হয়ে আসে মাঝে মাঝে দৃষ্টিগোচরে অধিকাংশ সময়ে হারায় তারা তোমারই বক্ষের অক্ষে । আমি কেবল তোমার ঠোঁটের অস্ফুট নড়ে ওঠায়[…]

[২২শে শ্রাবণের শ্রদ্ধাঞ্জলী] আজও তোমার সুরে সুর মেলাতে চাই বেসুরো গলায় হয়ত তোমারই গান গাই জানি অসুরদের উপলব্ধ অমানুষী সত্য ইতিহাসের ভ্রান্ত ব্যাখ্যায়, ভ্রান্ত সব তথ্য মূহুর্তেই মেলাবে জানি বায়বীয় এক ফুৎকারে তোমার নীরব শক্তি[…]