নৈরাশ্যের কালো পাহাড়ের আড়ালে নিজেকে লুকাও অনর্গল
অর্গলে শুধু বন্দী থাকো, নিজেই নিজের কাছে
ওই পাহাড় পেরুতেই দ্বিধার বাঁধনে, বাঁধো হৃদয় নিজেরই
অস্বীকার করো বারে বারে , যতই বলি সবইতো আছে।
নিজের মনে শেকল পরাও বিষ্ময়কর বিশাল এক নিষ্ঠুর আনন্দে
জানি হৃদয় কাঁদে নীরবে অলক্ষ্যে তোমার
কৃত্রিম হাসি দিয়ে ভোলাও নিজেকেই নির্মম সত্যের আড়ালে
বলি, ভোর হলো বুঝি জাগো না আবার।
অথচ জানোই না তুমি , ওই অথৈ চোখের জলে ডুবে যাই বার বার
আলোর দিশা পাই দেখে জ্বলজ্বলে টিপ
ভাগ্যিস সাঁতার জানিনে আমি , নইলে জানতামই না নিমজ্জনের যে কী সুখ।
তুমিইতো জ্বালালে আঁধারে এই জীবন প্রদীপ ।
তবু কেন কষ্টের কষে বার বার করো কষাঘাত কোমল হৃদয়ে নিজের
বেদনারা বাসা বাঁধে অন্য মনেও জেনো
দুঃস্বপ্নের ঘুম ভেঙ্গে দাও এবার, স্বপ্নের সাবলীল এক সার্বিক সঙ্গ পেয়ে
আস্থার আঙিনায় এসে দাঁড়াও না কেন।
রবীন্দ্রসঙ্গীতের অসংখ্য তুমিদের যোগফলে যদি আমি হয়ে যেতাম কোন এক তুমি
ঈশ্বরের মতোই তুমি হতে সর্বত্র বর্তমান , আমি হতাম চরণে চারণ কবি রুমি ।