অরিন্দমের ইদানিং বড় ঈর্ষা হয় ঈশ্বরের শিল্পিসত্তাকে, সযত্নে যিনি এঁকে যান শৈল্পিক তূলিতে অরণির তুলতুলে চিত্র। কখনো মনে হয় কাঁচের পুতুল সে, ছুঁলেই হয়ত যাবে ভেঙ্গে কখনও বা মনে হয় হাওয়াই মেঠাইয়ের গোলাপি তুলো যাবে[…]

জাগরণ এবং নিদ্রার মধ্যে যে এক চিলতে অবকাশ যাকে অভিধানে তন্দ্রা নামে অভিহিত করা হয় সেই তন্দ্রায় আচ্ছন্ন এক উঠোন-রাতে কখন যে তুমি চুপি চুপি পায়ে চলে আসো বনবিহারিনী হরিণীর মতো কচি ঘাসের কোমল স্পর্শে[…]

হঠাৎ এক দমকা হা্ওয়ায় ছবি থেকে ছায়ায় হারালে তুমি এখনো অন্ধকার নয় সবটুকু জানি কিন্তু ধূসরতা করেছে গ্রাস গোধূলির হাল্কা আলোতে হেঁটে যাও তুমি , ক্রমশই ফ্যাকাশে হয় আমার স্বপ্নটুকু। রবীন্দ্রনাথ বৃথাই বলেছিলেন কোন এক[…]

কোন কোন ছবি আছে যা ঈশ্বরই আঁকেন কেবল কোমল কোন তুলিতে কোন কোন ছবি আছে যেখানে উর্বশী নেমে আসেন মর্ত্যের ভূমিতে কোন কোন ছবি আছে হারায় না যা বাহ্যিক চাকচিক্যের আড়ালে কোন কোন ছবি আছে[…]

আজ ঠিক এই মূহুর্তে তোমাকে ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করলাম …… না , না ভুল বললাম , তোমাকে ছুঁবো কী করে তুমিতো পলাতকা হরিণি ,হারাও বার বার, কখনও কেবল সবুজের আবর্তে , সুন্দরী গাছেরা হয় তোমার সখি[…]

জীবনের প্রতিদিনই হ্যালোউইনের হই হল্লায় কাটে আজকাল মুখ ও মুখোশের দ্বন্দ্বটা বুঝিনা সহজেই সকাল সকাল । হ্যালোউইনের মুখোশটা আড়াল করে যে কচি কচি মুখ তাতে থাকে খেলার আনন্দ এবং নিতান্ত নির্মল এক সুখ। অথচ প্রত্যহই[…]

ফ্যাকাশে রোদে অযথাই উষ্ণতা প্রার্থি আমি আবহাওয়ার মতো বিশ্বের বিবি হাওয়ারাও ফাঁকি দেন নিয়তই নইলে বাঁশি বাজালে রাধারা কেন নয় , কেন কেবল সর্পরা সব অযথাই নেচে ওঠে, অসংখ্যবার বারেক বিভ্রাটে। ওই যে তুমি ,[…]

বৈশাখের শাখে শাখে আনন্দের যে কালবোশেখী অন্তরালে তার থেকে যায় শেকড় সন্ধানের অনুরণন একদা হালখাতার খেরো পাতায় অংক মেলানোর যে আয়োজন । বড় জোর ব্যবসার জায়গায় মিষ্টিমুখ করা বানিজ্যিক পাল্লার পালা-পর্বণে যে বৈশাখ ছিল বৃত্তাবদ্ধ[…]

না , না মৌচাকে কেউ মারেনি ঢিল তবু মানুষ মৌমাছিরা গিজ গিজ করে মৌচাকের মোড়ে চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে ভিড়ে হেঁটে যাই আমি শান্তিনগরের দিকে শান্তির সন্ধানে জানি বলবেন , শান্তিনগরেই বা শান্তি কোথায় বাসের ভেঁপু[…]