নিম্গ্নতায় আচ্ছন্ন হওয়া তোমায় দেখি যতবার ততবারই হৃদ্যিক উপকুলে ওঠে ঝড় চোখের বিশাল পলক খানিক যদি তুলতে দেখা দিতো সেই সমুদ্র, তটে যার থেকে যাই আমি । নাওখানি নড়বড়ে এতটাই যে নামি না গভীর জলেতে[…]

অকালেই সকালের রোদ্দুর মন ভালো করার ফসল ফলায় খরা-পীড়িত এই হৃৎ আঙ্গিনায় । পঞ্জিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে উষ্ণতায় উদ্বুদ্ধ হয় অকষ্মাৎ মনের মুকুল মিলনের প্রত্যাশায় পূর্ণ মনে ভেঙ্গে যায় ভুল। মাঝে মাঝে সকাল কিংবা সাঁঝে[…]

সেদিন পাতালরেলে তিল ধারণের জায়গা ছিল না বিন্দুমাত্রও গোলাপি টুপি পরা শত সহস্র মাতা ভগিনী কন্যার কল-কোলাহলে পূর্ণ ছিলো ট্রেনের কামরা, উপচে পড়া ভিড়ে ছিলেন মানুষের অবিভাজিত অধিকারে সোচ্চার পুরুষেরাও। ভীড়ে প্রায় চিড়ে চ্যাপ্টা হতে[…]

কখনও কখনও দুঃস্বপ্নদের অতিক্রম করে স্বপ্নরা চলে যায় দিগন্ত ছোঁয়া মাঠ অবধি দূর্বৃত্তরা যখন ঘুর-পাক খায় নিজেরই বৃত্তের মাঝে দূঃস্বপ্নরা যখন বন্দি নিজেরই তৈরি ঘেরাটোপে , স্বপ্নের পাখি তখন মেঘোত্তীর্ণ আকাশের নীলিমায় চোখের পলকেই পালক[…]

স্বপ্নের সিঁড়ি সযত্নে গেঁথে চলা কেবল গ্রীস্মের দাবদাহে ঘর্মাক্ত দেহে কখনো অথবা শীত বিকেলে কুঁকড়ে যাওয়া কাঠবেড়ালির মতো । সেই সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সাধ জাগে যতটা আমার ততটা সাধ্য খুঁজে পাইনে সহজে কখনও যে চেষ্টা[…]

ঘন কুয়াশার আড়াল থেকে এক চিলতে রোদ্দুর হঠাৎ উঁকি দিলেই মনের ভুবনটা সোনালি হয়ে ওঠে মূহুর্তেই অনুরাগের ভৈরবি রাগে ভ’রে যায় অকালেই যেন সকালের নিকোনো উঠোন আমার। সেতারের তারগুলো সব বেতারের ইথারে তোলে তরঙ্গ সুরের[…]

সেই আদিকাল হতেই ইশ্বরের ইচ্ছেতেই বোধ হয় সুদক্ষ অভিনেতা আমরা একেকজন নির্দিষ্ট চরিত্রেই অভিনয় করে যাই প্রত্যহই কখনও পাথরে পাথর ঘষে আগুন জ্বালানো, বোতাম টিপেই উচ্ছল ঊষ্ণতার সন্ধান কখনও। ভূমিকাও বদলায় প্রায়শই আমাদের কখনও হামাগুড়ি[…]

জোৎস্নার বৃষ্টিতে সেদিন ভেজা হলো দুজনেরই তবে ভালবাসার জ্বরে ভুগছি কেবল আমি দীর্ঘদিন অথচ তুমি আছো নির্লিপ্ততার এক কুশলী নীরবতায়। যুক্তির হিসেব কষে চিকিৎসক দিয়েছেন হাল ছেড়ে। শীত বসন্তে উহ্য এ উত্তাপে অল্প স্বল্প কল্পলোকে[…]

“কথা ছিল লিখবে কবিতা আমার জন্য” , অরণির সেই অনুরোধের কথা ভুলে গেছে অরিন্দম একেবারেই, কথা ছিল কি ? জিজ্ঞেষ করতেই অরণি জ্বলে উঠলো আদিম উষ্মায় ঠিক যেমনটি জ্বলতো পাথরে পাথর ঘষার দিনগুলোতে । মন-পাথরকে[…]