শীত পোহানো রাত্রি শেষে ঊষ্ণতার প্রতীক্ষায় কেটেছে নিরুত্তাপ রোদের দিনগুলোও আমার আলোর বিভ্রান্তিতে , উত্তাপ চেয়ে ঠকেছি বার বার যতটা উজ্জ্বল আলো, ঊষ্ণতা তার চেয়ে দূর্বল ছিল অনেক। একটুকু ‍উত্তাপের প্রত্যাশায় এক চিলতে ব্যালকোনিতে দাঁড়ানো[…]

মেঘেতে বৃষ্টিতে এই পরিপূরক সখ্য নিয়ে মনের শুকনো ভূমি না হয় গেলে ভিজিয়ে তোমার মেঘাচ্ছন্ন মন আসুক না নেমে আমার তৃষ্ণার্ত হৃদয়ের পশলা বৃষ্টি হয়ে। দিনের দৈর্ঘ সমান যে বিশাল অন্ধকার তোমার আকাশকে ঢাকে না-চাওয়ার[…]

অরনির অভিমানেরা ক্রমশই আয়তনে বেড়ে চলে রবি ঠাকুরের আশ্বাসে বিশ্বাস রেখেই ভাবে হয়ত এতক্ষণে মালা গাঁথা শেষ হয়েছে অরিন্দমের কড়া নাড়ার শব্দে জাগাবে শিহরণ, অতঃপর ছায়াছবির শেষ দৃশ্যের মতোই আলিঙ্গনে ভরবে প্রেমের প্রাঙ্গন এবং ধূলোয়[…]

বিভ্রান্ত এই আমি বৃদ্ধ বৃক্ষকে শুধাই “ বলো তো ভাই , তুমি কি নারী না পুরুষ ”? অবাক বিস্ময়ে বৃক্ষ চেয়ে থাকে; এহেন প্রশ্ন করেনি তাকে এ যাবৎ কোন পাগল কিংবা পন্ডিত বৃক্ষ বলে ,[…]

মুঠো ফোনের সত্বার মতো অস্তিত্ব আমার ধরা আছে তোমারই হাতে বরাবর; কখন যে অকম্মাৎ কোন বোতাম টেপো, কোন খেয়ালে সংযোগ করো বন্ধ , যুক্ত করো কার সাথে বুঝে উঠিনি কখনও আমি , বুঝিনা এখনও। ক্ষুদ্রতাটুকু[…]

অনুভবেরা আজকাল খিড়কি দূয়ার দিয়ে করে যাওয়া আসা কখনও দিব্য চোখে চেয়ে দেখা , কখনও কেবল ভাসা ভাসা। কদাপি কিঞ্চিৎ কিয়দংশ উচ্চারণ, বাকীটুকু নির্দয় নীরবতা কখনও নিছক গদ্যের গোঁড়ামি , কখনও বা শুধু কাব্যকথা ।[…]

লোহার শেকল পায়ে সোনার খাঁচার আশ পাশ দিয়েই অরিন্দমের আনাগোনা প্রত্যহই; ঘুর ঘুর করে যায় সে পথে গয়নাবিহীন  ময়না পাখিকে দেখে প্রাণের ব্যাকুলতায় বন্দী হতে ইচ্ছে করে সোনালী খাঁচার আবর্তে বার বার।   সকাল –সন্ধ্যা[…]

স্বপ্নের উঠোনে নজরুল তোমার ফুটেছিল যে শব্দরা ফুল হয়ে তাদেরই সম্মিলিত শক্তিতে পাই ভরসা বর্ষা মূখর এ রাতেও হিংসার এই কাঠ-ফাটা রোদে বিভাজিত বাগানে আমার ক্যাক্টাসের কাঁটায় বিক্ষত হই আমি , তবু কষ্টে অক্ষত অনুভূতি[…]

নিঃশব্দ চরণে বিচরণ করো আমারই আঙিনায় নিয়ে যাও অঘ্রাণের ঘ্রাণটুকু ফাল্গুনের ফুলেল আবহে সিঁদ কেটে নাও জানি , সিঁদূরের শেষ কৌটো খানিও সিঁথি তবু রেখে দা্ও শূণ্য এখনও , কার জানি প্রতীক্ষায়।   স্বপ্নরা করে[…]